বিদ্যালয়ের নামঃ পাঠান আলহাজ্ব শমশের আলী উচ্চ বিদ্যালয়। (সংক্ষিপ্ত নাম) পাঠান এ.এস.এ উচ্চ বিদ্যালয়।
প্রতিষ্ঠার তারিখ: ০১ জানুয়ারি ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দ।
বিদ্যালয়ের অবস্থান: বগুড়া জেলার অন্তরগত নন্দীগ্রাম উপজেলাধীন ৪নং থালতামাজগ্রাম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পাঠান গ্রামে অবস্থিত। বগুড়া সদর হতে ২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে, নন্দীগ্রাম উপজেলা হতে ২৩ কিলোমিটার উত্তরে জেলা বোর্ডের রাস্তার উত্তর পার্শে পাঠান গ্রামে অবস্থিত।
প্রতিষ্ঠার ইতিহাস অত্র এলাকায় কোন উচ্চ বিদ্যালয় না থাকায় প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের পর ছেলে মেয়েরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ছিল। বিশেষ করে মেয়েদের পক্ষে দূরে গিয়ে পড়া লেখা করা সম্ভমপর ছিল না। শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষ, যোগ্য, আদর্শ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার অভিপ্রায় নিয়ে এলাকাবাসী একটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেন। এলাকাবাসীর মহৎ উদ্দ্যেগে সাড়া দিয়ে পাঠান গ্রামের সুনামধন্য হিতৈষী ও বিদ্যানুরাগী ব্যক্তি আলহাজ্ব হজরত আলী মন্ডল এবং তাঁর পুত্রগণ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যাবতীয় ব্যয় বহনের দায়িত্ব গ্রহণ করায় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ১ জানুয়ারি উনিশশত বাহাত্তর খ্রিস্টাব্দে পাঠান গ্রামে বিদ্যলয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে এলাকায় শিক্ষাবিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বর্তমান বিদ্যালয়টি নৈতিক, যগোপযোগী ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি গুনগত ও মানসম্মত শিক্ষাদানে সক্ষম। বর্তমান সরকারের শিক্ষা বিষয়ক নির্দেশনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিক্ষকবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়, শিক্ষার্থীদের নিরলস অধ্যয়ন ও অধ্যবসায় এবং অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত চেস্টায় প্রতিষ্ঠানটি নন্দীগ্রাম উপজেলার মধ্যে অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে।